রাজশাহী চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মুহুর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ ফকরুল ইসলাম। সভা সমাবেশ নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং চারঘাটকে উন্নত-সমৃদ্ধৃ-মডেল ও স্মার্ট উপজেলায় রুপান্তরের জন্য দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে আনারস প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ ফকরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হলে আগামী দিনে বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা সহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচনী এলাকার এলাকার রাস্তাঘাট মসজিদ মাদ্রাসা গোরস্থ্নারে বিষয়ে আমার নিকট কেউ আসলে আমি আমার সাধ্যমত তাদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এলাকার মাদক নির্মুল ও সন্ত্রাসমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যােিচ্ছন। তিনি বলেন, নারী ভোটারসহ দলীয় নেতা কর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ আমাকে যেভাবে ভালোবেসে যাচ্ছেন এবং আমার ডাকে যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন আমি আশা করি এই চারঘাট উপজেলায় সম্মানিত ভোটারগণ আবারও আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে। তিনি বলেন,
এই চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় জয়যুক্ত হলে এলাকার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন “গ্রাম হবে শহর” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আধুনিক সকল সুবিধা যুক্ত করে গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করব এবং স্মার্ট চারঘাট উপজেলা গড়বো।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি করোনাকালীন সময়ে সরকারের অনুদানের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েও সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম এবং চারঘাটবাসীর দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থনে আনারস প্রতীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের মধ্যে চারঘাটকে রোল মডেল উপজেলায় পরিণত করবো।
আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব।
চারঘাট উপজেলার সাধারণ ভোটাররা জানান, ফকরুল ইসলাম চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলেই পুরো চারঘাট অঞ্চলজুড়ে বইছে তার সুনাম। রাস্তাঘাট মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ থেকে শুরু করে অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে তিনি সর্বসময় দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি একজন গণমানুষের নেতা। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক থাকার সুবাদে সরকারের আনুকুল্যে থাকায় তিনি চারঘাট উপজেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইতিমধ্যে চারঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম কে আনারস প্রতীকে বিজয়ীর লক্ষ্যে চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাবুর তাঁর ওয়ার্ডের তাতারপুর গ্রামের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ভোটারদের নিকট যাচ্ছেন এবং লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগের মাধ্যমে তার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফকরুল ইসলাম প্রচারণায় এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য সাহাবুর গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম এই চারঘাট উপজেলায় জন্মগ্রহণ করে বড় হয়েছেন। তিনি উপজেলার প্রতিটি গ্রাম চেনেন এবং প্রায় প্রতিটি মানুষ তাকে ভালোবাসেন। আমাদের চোখে দেখা তিনি বিগত সময়ে চারঘাট উপজেলার যোগ্য সৎ চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজশাহী জেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলায় সবচাইতে বেশী উন্নয়ন করেছেন। সে সুবাদে তিনি সকলের প্রিয়ভাজন এবং চারঘাটের উন্নয়নের স্বার্থেই এবারো অত্র এলাকাবাসী তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
চারঘাট উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রায়হান কুদ্দুস জানান, চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।